একটি আরামদায়ক অফিস স্পেস তৈরি করার জন্য সঠিক জায়গা খুঁজে বের করা খুব গুরুত্বপূর্ণ। আপনার অফিস এর অন্দরমহলকে নান্দনিক ও একইসাথে কার্যকরী করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই বিষয়টি এড়িয়ে গেলে চলবে না যে, আমাদের দিনের একটি লম্বা সময় অফিসের পেছনে দিতে হয়। যখন আমরা কোনো বিজনেস অথবা স্ট্র্যাটেজিক প্ল্যানের পেছনে সময় দিচ্ছি, আমাদের তখন থাকা চাই সবচেয়ে কম্ফোর্টেবল জোন-এই।
যেই ওয়ার্কপ্লেসে আপনি কাজ করার জন্য মোটিভেশন পাবেন না, সেই ওয়ার্ক প্লেইসকে অফিস বলা কতটা যুক্তিযুক্ত? ঠিক এ কারণেই এই ব্লগটিতে আমরা কথা বলব অফিস স্পেসকে সজানোর ৬ টি উপায় নিয়ে।
১. কাজ করার পরিবেশের উপর মনোযোগ
অফিস সাজানোর আগে বিভিন্ন কাজের ধরন ও এর প্রয়োজনীয় বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলুন। কেউ কেউ হয়তো এল শেপড ডেস্কে কাজ করতে আগ্রহী, আবার কেউ কেউ হয়তো কাউন্টারহেড ডেস্কে কাজ করতে আগ্রহী। তাই সবার সাথে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত।
এরগোনমিক, অর্থাৎ, কাজ করার পরিবেশ শুধুমাত্র ফার্ণিচারের উপরই নির্ভর করে না। ভিজ্যুয়াল এবং অডিও এলিমেন্টের উপরও নির্ভর করে। আগেরদিনের অফিসের লাইটিংগুলো চোখের উপর প্রভাব ফেলতো। বর্তমানে লাইটিং বাছাই করতে হতে হবে সচেতন। লাইটিং যেন চোখের উপর অত্যাচার না করে কাজ করতে সাহায্য করে, এমন হওয়া চাই।
২. কম ফার্ণিচার রাখুন
হিজিবিজি স্থান, আপনার মনকেও হিজিবিজি করে রাখে। তাই অনেক বেশি ফার্ণিচার না রেখে, আপনার অফিসের পরিবেশকে ছিমছাম রাখুন। একটি পরিষ্কার জায়গা রাখুন, যা আপনাকে প্রতিদিনের কাজ শুরু করতে সাহায্য করবে। আপনার কাজের ফাইল এবং অন্যান্য সামগ্রী দিয়ে ডেস্কে স্তূপ তৈরি করবেন না। এর বদলে এমন কোনো সমাধান বের করুন যা আপনার ডকুমেন্টস গুলোকে একত্রে রাখবে। ভারী ফার্ণিচার ব্যবহার না করে, হালকা পাতলা কিছু ব্যবহার করুন যা আপনার অফিসকে পরিষ্কার দেখাতে সাহায্য করবে।
৩. সঠিক রঙের ব্যবহার করুন
আপনার অফিসের রঙ বাছাই করার সময় আপনাকে হতে হবে অত্যন্ত সচেতন। কিছু রঙ যেমন আপনার কাজ করার ইচ্ছাশক্তি বাড়িয়ে দিবে, তেমনই কিছু রঙ হতে পারে আপনার বিষণ্নতার কারন। ছাই, সাদা, ঘিয়া রঙ বিষণ্ণ পরিবেশের সৃষ্টি করে৷ অন্যদিকে সবুজ, নীল আপনাকে করবে মনোযোগী।
হলুদ একটি অত্যন্ত উজ্জ্বল রঙ যা আপনার মনোবল বাড়াতে সাহায্য করবে। তবে, পুরো রুম জুড়ে হলুদের ব্যবহার দেখাতে পারে দৃষ্টিকটু। এক্ষেত্রে সঠিক পরিমাণ ও ব্যবহার আপনার অফিসের পরিবেশকে করে তুলবে অসাধারণ। এছাড়াও আপনার অফিসের লোগোর রঙের ব্যবহারও করতে পারেন৷
৪. উজ্জ্বল লাইটিং
আলোর অপর্যাপ্ততা আপনার অফিসের পরিবেশকে করতে পারে বিষন্ন। আপনার কাজের জায়গায় যেন পর্যাপ্ত আলো থাকে তা নিশ্চিত করুন। ডেস্কগুলোকে রাখুন জানালার কাছাকাছি, যাতে প্রাকৃতিক আলোকে কাজে লাগানো যায়। হালকা কোনো পর্দা দিয়ে জানালাগুলোকে ঢাকুন যাতে সূর্যের আলো প্রবেশ করতে পারে। সাদা এলইডি লাইট, ল্যাম্পস হতে পারে আপনার অফিসের জন্য আদর্শ লাইটিং।
৫. সবুজ গাছ যোগ করুন
কিছু সজীব প্ল্যান্টসের ব্যবহার করুন যা আপনার অফিসকে করবে প্রাণবন্ত। বড় অফিসে বড় আকারের গাছও মানিয়ে যাবে সহজেই৷ তবে প্রাকৃতিক আলো যেন থাকে সেই বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।
আপনার অফিস স্পেসটি যদি বড় না হয়ে থাকে, সেক্ষেত্রেও গাছের ব্যবহার করা যেতে পারে। এক্ষেত্রে আপনার ডেস্কগুলোকে সাজাতে পারেন ছোট আকারের গাছ দিয়ে। ব্যবিহার করতে পারেন সজীব ফুলও।
৬. অভিজ্ঞদের সাহায্য নেয়া
আপনার অফিস স্পেসটি সাজানো হতে পারে বেশ কঠিন ও সময় সাপেক্ষ একটি কাজ৷ এই বিষয়ে তাই আপনি সাহায্য নিতে পারেন বিশেষজ্ঞদের।
আপনি সাহায্য নিতে পারেন Sheraspace এর Commercial Design consultation এর। Sheraspace দিয়ে থাকে ঝামেলাবিহীন ইন্টেরিয়র ডিজাইন সার্ভিস।
যেহেতু দিনের বেশিরভাগ সময় আমাদের অফিসে কাটাতে হয়, তাই একটি আরামদায়ক অফিসস্পেস বেশ গুরুত্বপূর্ণ। এই টিপসগুলো কাজে লাগিয়ে তাই সাজিয়ে ফেলতে পারেন আপনার অফিস স্পেস, একদম আপনার পছন্দমতোন৷
এই ব্লগটি ইংরেজিতে পড়ুন।
অনুবাদ: নার্গিস হামিদ মনামী
No Comments