সময়ের সাথে সাথে বদলায় সবকিছু। ২০২২ সালকে পেছনে ফেলে এসে যখন ফিরে তাকানো হয়, তখনও লক্ষ্য করা যায় পরিবর্তন। আমাদের থাকা, কাজ করা, নতুন পরিবেশের সাথে খাপ খাওয়ানো, সবকিছুতেই দেখা যায় পরিবর্তন। সাদামাটা, বৈশিষ্ট্যপূর্ণ, এবং সাশ্রয়ী- এই তিনটি বিশেষণ ২০২২ সালের অন্দরমহল সাজানোর তালিকায় ছিল সবচেয়ে উপরে। এই ব্লগে আমরা আলোচনা করব শীর্ষ ৫ টি ইন্টেরিয়র ডিজাইন নিয়ে যা ২০২২ সালে সেরাস্পেস-এর কাছে ক্লায়েনটদের সবচেয়ে বেশি অনুরোধের ছিলো।
মানুষ কীভাবে এই বছর তাদের ইন্টেরিয়র সাজালো তার ধয়ারণা পেতে ব্লগটি পড়তে থাকুন।
কেন্দ্রীয় দেয়াল
একটি কেন্দ্রীয় দেয়াল পারে আপনার ঘরে বাড়তি আকর্ষণ যোগ করতে। পুরো রুমকে নতুন করে তৈরি করার চেয়ে একটি দেয়ালকে সাজানো যেমন খরচ কমায়, তেমনি কমতি রাখে না আকর্ষণ তৈরিতেও। যেহেতু ২০২২ এ সবাই সাধাসিধে আর কম খরচে ঘর সাজাতে চেয়েছে, তাই কেন্দ্রীয় দেয়াল তৈরির মাধ্যমে তা করাটা বেশ সহজ।
এই ধরনের দেয়াল তৈরি করা বেশ সহজ, এবং পুরোটাই নির্ভর করে ক্লায়েন্টের পছন্দের উপর। এ সম্পর্কে আরোও জানতে পারেন এই লিংকেঃ 10 tips to create an accent wall
কর্ণার সাজানো
ঘরকে একটু অন্যরকম করে সাজাতে ঘরের কোনো খালি জায়গা সাজানো হতে পারে অসাধারণ একটি উদ্যোগ। কর্ণার সাজাতে প্রয়োজন পরে খুব কম সময় আর কাজের। তাই ঘর সাজাতে গিয়ে কর্ণার সাজিয়ে নিলেই ঘর পায় একটি নতুন আবহ ও পরিবেশ।
২০২২ এ মানুষ তাদের ঘরের কর্ণার সাজিয়ে বাড়িয়ে নিয়েছে ঘরের ব্যবহার্য জায়গা। কেউ কেউ আবার কর্ণার সবুজ গাছ দিয়ে সাজিয়ে ঘরে আনতে পেরেছে সজীবতা। কেউ কেউ আবার কাজিয়ে লাগিয়ে হোম স্টুডিও হিসেবেও। আপনিও সাজিয়ে তুলতে পারেন আপনার ঘরের কর্ণার। বিস্তারিত জেনে নিন এই লিংকটি থেকেঃ 7 Innovative ideas to make the empty corners of your house functional.
স্টোরেজ ম্যানেজমেন্ট
যেহেতু হাইব্রিড কাজের জায়গার কারণে স্কুল, অফিস কিংবা অন্যান্য কাজ ও ঘরের মধ্যকার সম্পর্ক হয়েছে জটিল, তাই ঘরকে অর্গানাইজ করা হয়েছে আরোও চ্যালেঞ্জিং। সবাই তাই চায় বাড়তি জায়গা যার মাধ্যমে অফিসের কাজের জিনিসপত্র বা ঘরের শো-পিস, সবই যেন গুছিয়ে রাখা যায়। তাই এটি বিস্বয়কর নয় যে ২০২২ এ মানুষ ঘরের স্টোরেজ ম্যানেজমেন্টকে প্রাধান্য দিবে। স্টোরেজ ব্যবস্থায় মানুষ যেমন যুক্ত করে রঙ, এবং বিভিন্ন ডিজাইন, তেমনি চেয়েছে সহজলভ্যতা যা প্রতিদিনের কাজকে করবে দ্রুত।
হোম অফিস
এটি মোটামুটি নিশ্চিত যে ঘরে থেকে কাজ করা এখন সাধারণ জীবনের অংশ হিসেবেই রয়ে যাবে। যেহেতু অফিস এবং বাসা, দুই জায়গা থেকেই কাজ করা স্বাভাবিক বিষয়, তাই বিভ্রান্ত হওাটাও বেশ স্বাভাবিক। তাই বাড়িতেই একটি ‘হোম অফিস’ তৈরি করে নেয়াটা কাজ অনেক সহজ করে তুলবে।
ঘরে ওয়ার্ক স্টেশন তৈরি করার প্রধান কারণ হলো বাড়ির অন্যান্য কাজ যেন মনযোগ ব্যহত না করতে পারে, সেই বিষয়ে লক্ষ্য রাখা। হোম অফিস আপনাকে শুধু কাজ করতেই আগ্রহী করবে না, আপনার চারপাশের পরিবেশকে আনন্দদায়ক করতেও সাহায্য করবে। হোম অফিস তৈরি করার একমাত্র ঝক্কি হলো স্থান বাছাই করা। উদাহরণস্বরূপ, কেউ চায় ঘরে খোলা জায়গা, আবার কেউ পুরো একটি রুমকেই বানাতে চায় হোম অফিস। কারোও কারোও জন্য উজ্জ্বল ও আলোযুক্ত অফিস, সাথে ভালো স্টোরেজ ব্যবস্থা হয়েছে আদর্শ জায়গা যেখানে সহজে ভাবা যায় ও স্রিজনশীল হওয়া যায়। অন্যদিকে কিছু ক্লায়েনটের জন্য আদর্শ ছিলো রঙিন, মাদুর, ছবির ফ্রেম ও বিভিন্ন সঞ্জাম যা মনের সৃজনশীলতাকে ফুটিয়ে তোলে।
হোম স্টুডিও
করনাকালে আমরা দেখেছি কীভাবে এফ-কমার্সের সংখ্যা বৃধি পেয়েছে। মানুষ তাই তাদের ব্যবসার জন্য প্রয়োজনীয় কন্টেন্ট তৈরি করতে বেছে নিয়ে ঘরের মধ্যেই হোম স্টুডিও তৈরি করার বিষয়টিকেই।
স্টুডিও ডিজাইনের নেই কোনো নির্দিষ্ট ফর্মুলা। ক্লায়েন্টের পছন্দ ও প্রয়োজন অনুযায়ী যেকোন ধরনের ডিজাইনই হতে পারে স্টুডিও বানানোর জন্য আদর্শ। উদাহরণস্বরূপ, কোনো এফ-কমার্স বিজনেস-এর জন্য পেছনের ব্যাকগ্রাউন্ড হওয়া দরকার সলিড কোনো রং-এর এবং উজ্জ্বল। প্যাটার্ণযুক্ত ব্যাকগ্রাউন্ড হয়তো সঠিকভাবে প্রোডাক্টকে ফুটিয়ে তুলতে পারবে না। অন্যদিকে ডিজিটাল কন্টেন্ট যেমন পডকাস্ট-এর জন্য ব্যাকগ্রাউন্ড হওয়া চাই রঙিন ও প্যাটার্নযুক্ত। স্টুডিও দিজাইন করার সময় সেরাস্পেস মাথায় রেখেছে আক্ররষনীয়তা এ বাজেত, দুটোই। তাই কাস্টোমাররাও পেয়েছে তাদের পছন্দের ডিজাইন ও তৃপ্তি।
এওগুলোই চিলো বাংলাদেশি ক্লায়েন্টদের থেকে পাওয়া শীর্ষ ৫টি ইন্টেরিয়র ডিজাইনের অনুরোধ।
আপনিও চাইলে আমাদের প্যাকেজগুলো ঘুরে দেখতে পারেন। আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে ক্লিক করুনঃ Sheraspace
এই ব্লগটি ইংরেজিতে পড়ুন।
অনুবাদ: নার্গিস হামিদ মনামী
No Comments